পরিষদ আন্দোলন কী? পরিষদ আন্দোলনের ব্যর্থতা ও সফলতা সম্পর্কে আলোচনা কর।

admin

ভূমিকা :

মধ্যযুগের রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে পরিষদ বা সংস্কার আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মধ্যযুগের শেষের দিকে সংঘটিত এ আন্দোলন তৎকালীন রাষ্ট্রচিন্তাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছিল। স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পরিষদ বা সংস্কার আন্দোলন শুধু একটি আন্দোলন হিসেবে পরিচিত হলেও যুক্তির বিচারে এ আন্দোলনকে একটি তত্ত্বও বলা হয়ে থাকে। কারণ হিসেবে বলা যায়, এ আন্দোলনের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে বিভিন্ন রাষ্ট্রচিন্তাবিদগণ তাদের মতবাদ গড়ে তোলেন। এতদসত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এ আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছিল।


পরিষদ আন্দোলন কী? পরিষদ আন্দোলনের ব্যর্থতা ও সফলতা সম্পর্কে আলোচনা কর।


পরিষদ বা সংস্কার আন্দোলন :

মধ্যযুগের ইতিহাসে পরিষদ আন্দোলন একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এ আন্দোলনকে অনেকেই ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন হিসেবে অভিহিত করেছেন। মূলত খ্রিষ্টানধর্মের সংস্কার সাধনে এ আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে। এ আন্দোলন পঞ্চদশ শতাব্দীতে ব্যাপকতা লাভ করলেও বেশ আগেই এর সূত্রপাত ঘটে। গির্জা বা পোপের সর্বময় কর্তৃত্ব নিয়ে চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে সমগ্র ইউরোপব্যাপী প্রচণ্ড আন্দোলন গড়ে উঠে। এ আন্দোলন সংস্কারবাদী চেতনার জন্ম দেয়। এই আন্দোলনের ফলে গির্জা ও রাষ্ট্র, পোপ ও সম্রাট আনুষ্ঠানিকভাবে বিরোধিতায় অংশ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় খ্রিষ্টধর্মের যাজকদের এবং গির্জা ব্যবস্থাপনা নৈতিক ও বৈষয়িক ক্ষেত্রে যে অধঃপতন ও সীমালঙ্ঘন ঘটেছিল তাকে সংশোধন ও পুনরুজ্জীবন আনয়নের মাধ্যমে মূল স্রোতধারার প্রবর্তনে পঞ্চদশ শতাব্দীতে কতিপয় পণ্ডিত ব্যক্তির নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলন রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে পরিষদ বা সংস্কার আন্দোলন নামে পরিচিত।

আরো পড়ুন: রাষ্ট্রদর্শনের ইতিহাসে আন্দোলনের পরিষদ তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।

পরিষদ বা সংস্কার আন্দোলনের সাথে মার্সিলিও অব পাদুয়া, উইলিয়াম ওকাম, জন অব গার্সন, পিয়ার ডি. এলিট, নিকোলাস অব কুস্যা, ইনিরাস সিলভিয়াস প্রমুখ রাষ্ট্রচিন্তাবিদদের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে দার্শনিকদের ভাষ্য হচ্ছে, The reforms of the church is essential need for nation building" তাছাড়া পরিষদ আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল গির্জা বা পোপের সীমাহীন ক্ষমতা হ্রাস এবং জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আধুনিক জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রের সূচনা করা। এ প্রসঙ্গে তাদের মতামত হচ্ছে "Councillor Movement aiming at the breaking of the supremacy of the church and challenge going the arrogance of papacy."


পরিষদ আন্দোলনের মূল্যায়ন :

পরিষদ আন্দোলন মধ্যযুগের ইতিহাসে এক নবদিগন্ত উন্মোচন করে। এ আন্দোলন পোপ বা গির্জার বিরুদ্ধে খুবই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ আন্দোলনে মূল্যায়ন এর সফলতা ও ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

আরো পড়ুন: আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী? আলোচনা কর।

পরিষদ আন্দোলনের সফলতা : মধ্যযুগের ইতিহাসে পরিষদ আন্দোলন একটি সংস্কারবাদী পদক্ষেপ। এ আন্দোলন মধ্যযুগকে সংস্কারমুক্ত করতে বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এ আন্দোলনের সফলতা ও ব্যর্থতা দুটাই ছিল। নিম্নে পরিষদ আন্দোলনের সফলতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :


১. পোপের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব হ্রাস : পরিষদ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক দিক হলো পোপের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব হ্রাস। খ্রিষ্টধর্মের উষালগ্ন থেকেই পোপ শক্তিশালী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং যত্রতত্র প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার করতে থাকে। কিন্তু পরিষদ আন্দোলন পোপের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। যার ফলে পোপের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব হ্রাস পায়।


২. নিয়মতন্ত্রবাদ : পরিষদ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সফলতম দিক হলো নিয়মতন্ত্রবাদ। এ আন্দোলনের মাধ্যমে পোপের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারিত হয়। এ আন্দোলনে নিয়মতন্ত্রের দিকটা খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হতো। তাই এ আন্দোলনে কোনো ধরনের অনিয়মের স্থান দেওয়া হয়নি। যার ফলে পরিষদ আন্দোলনের মাধ্যমে নিয়মতন্ত্রবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়।


৩. স্বৈরশাসনের অবসান: পরিষদ আন্দোলন ছিল একটি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন। এ আন্দোলন পোপের স্বৈরাচারী মনোভাব লক্ষ্য করে এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে। এ আন্দোলন যাজক ও পোপের অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ দেওয়ার কথা এবং ক্ষমতাচ্যুত করার কথা ঘোষণা করে। এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে পোপের মতো স্বৈরশাসকের অবসান হয়।


৪.সংস্কারসাধন :  পরিষদ আন্দোলন সংস্কারসাধনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংস্কারসাধনের গির্জার অভ্যন্তরীণ শাসনে ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবর্তন কিছুটা অসম্প ও থেকে যায়।

আরো পড়ুন: রেনেসাঁ বলতে কী বুঝ? রেনেসাঁর প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা কর।

.৫. দ্বদ্ধ ও সংঘাতের অবসান : মধ্যযুগে পোপ ও সম্রাটের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ও সংঘাত নিরসনে পরিষদ আন্দোলনে ভূমিকা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এসময় গির্জা ও রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত প্রায়ই লেগে থাকত। এ দ্বন্দ্বের প্রধান কারণ ছিল পোপের অবাধ ক্ষমতার প্রয়োগ। পোপ ধর্মের নামে অবৈধভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করত। তাঁর এ ক্ষমতার অপপ্রয়োগের বিষ পরিষদ আন্দোলন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যার ফলে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটে ও পোপ ও সম্রাটের মধ্যকার দ্বদ্ধের অবসান ঘটে।


৩. রাজনৈতিক পরিবর্তন : পরিষদ আন্দোলন যেসব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো রাজনৈতিক পরিবর্তন। পরিষদ আন্দোলনের পূর্বে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তেমন একটা পরিবর্তন সূচিত হয়নি। এ সময় মুক্তচিন্তার সুযোগ বলতে তেমন কিছু ছিল না। কিন্তু এই আন্দোলনের ফলে ধর্মের প্রভাব হ্রাস পায় এবং মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনার নতুন ধারা বিকশিত হয়।


৭. ধর্মনিরপেক্ষতার উদ্ভব : পরিষদ আন্দোলনের মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতার উদ্ভব হয়। মধ্যযুগের শুরু থেকে ধর্ম রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিল। এ সময় পোপ ও যাজকেরা ধর্মের নামে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করত। মূলত মধ্যযুগে প্রায় সকল ক্ষেত্রে ধর্মের প্রভাব ও আধিপত্য বিরাজ করেছিল। কিন্তু মধ্যযুগের শেষ দিকে পরিষদ বা সংস্কার আন্দোলন পোপ ও যাজকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। যার ফলে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়।


৮. গণতান্ত্রিক চিন্তার বিকাশ : পরিষদ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরতন্ত্রের পরিবর্তে গণতান্ত্রিক চিন্তার বিকাশ লাভ হয়। এসময় আন্দোলনকারীরা মনে করত পোপ কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। তাই পোপের পরিবর্তে এমন এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা অর্পণ করা উচিত, যার শাসনকে সকলে সাদরে গ্রহণ করবে। অর্থাৎ এ অবস্থার প্রেক্ষিতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জন্ম হয়।


পরিষদ আন্দোলনের ব্যর্থতা :

পরিষদ আন্দোলন খুবই সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সূচিত হয়েছিল। কিন্তু এ আন্দোলনের উদ্দেশ্যসমূহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। নিম্নে পরিষদ বা সংস্কার আন্দোলনের ব্যর্থতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :


১. ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা : পরিষদ আন্দোলন যেসব ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিল তার মধ্যে একট উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্র হলো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতা। এ আন্দোলন মূলত পোপ ও সম্রাটের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠান উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। প্রথম দিকে পোপ ও সম্রাটের মধ্যে কিছুটা সমঝোতা হলেও পরবর্তীতে আর এ দুইয়ের মধে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

আরো পড়ুন: আধুনিক যুগ বলতে কী বুঝ? আধুনিক যুগের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বর্ণনা কর

২. সংস্কার সাধনে ব্যর্থতা : পরিষদ বা সংস্কার আন্দোলনের একটি নেতিবাচক দিক হলো গির্জার অভ্যন্তরে সংস্কর সাধনের ব্যর্থতা। মূলত গির্জার প্রশাসনকে সংস্কার সাধনের উদ্দেশ্যে এ আন্দোলনের সূচনা হয়। কিন্তু দেখা যায়, গির্জার অভ্যন্তরে সংস্কার সাধন সম্পূর্ণরূপে সংগঠিত হয়নি। কারণ সিদ্ধান্তহীন কর্মসূচির জন্য সংস্কার অসম্পূর্ণ থেকে যায়, পরিষদের সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে এ আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে পড়ে।


৩. ব্যাসেল কাউন্সিলের ব্যর্থতা : এ আন্দোলনের অপর একটি ব্যর্থতার দিক হলো ব্যাসেলের অভ্যন্তরীণ মহ বিরোধ। আস্তে আস্তে ব্যানেলের প্রতিনিধিদের মধ্যেও মতের বিরোধ দেখা দেয়। এর প্রতিনিধিরা জাপানসহ অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করে। কিন্তু ভ্রমণ শেষে প্রতিটি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা তাদের জাতীয় স্বার্থের প্রদান করে। এ ধরনের মতামত পরস্পরের বিরুদ্ধে চলে যায়। যার ফলে এ আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।


৪. প্রশাসনিক ব্যর্থতা : প্রশাসনিক ব্যর্থতা হলো পরিষদ আন্দোলনের অন্যতম একটি নেতিবাচক দিক। আন্দোলন প্রশাসনিক পরিবর্তন ও সংস্কারকে সামনে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো পরিষদসমূ মতবিরোধের কারণে পোপ তাঁর পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসে। যার ফলে প্রশাসনিক সংস্কার স্থগিত হয়ে যায়।


৫. ক্ষমতার অতিকেন্দ্রিকতা : পরিষদ আন্দোলনের অন্যতম একটি নেতিবাচক দিক হলো ক্ষমতার অতিকেন্দ্রিকতা। পরিষদসমূহ সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি। এ আন্দোলনের ব্যর্থতার কারণ হিসেবেই পরবর্তীকালে প্রশাসনে ক্ষমতার অতিকেন্দ্রিকতার সৃষ্টি হয়। যার ফলে এ আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।


৬. গণতন্ত্র বিপন্ন : পরিষদ বা সংস্কার আন্দোলন গণতন্ত্রকে অনেকটা বিপন্ন করে তোলে। এ আন্দোলনের ফলে প্রথম দিকে গির্জা বা পোপের ক্ষমতা হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু কাউন্সিল অব ব্যাসেলের অভ্যন্তরীণ মত বিরোধের ফলে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। এমন কি পোপের ক্ষমতা আরো অধিক হয়। যার ফলে গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়ে।

আরো পড়ুন: রাষ্ট্রচিন্তা কী? রাষ্ট্রচিন্তার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশের ইতিহাস পর্যালোচনা কর।

৭. পরনির্ভরশীলতার সৃষ্টি : পরিষদ বা সংস্কার আন্দোলনের ফলে পরনির্ভরশীল ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন অধিক হারে বাড়তে থাকে। যার ফলে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। এ কারণেও পরিষদ আন্দোলন ব্যর্থ হয় ।


উপসংহার :

উপর্যুক্ত আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, পরিষদ আন্দোলন তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যর্থ হলেও সার্বিক মূল্যায়নে তাকে ঠিক ব্যর্থ বলে অভিহিত করা যায় না। কারণ এই আন্দোলনই মধ্যযুগের সর্বপ্রথম আন্দোলন যার মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক ও মিত্র সরকারের নীতি প্রাচীন স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগ লাভ করে। পরবর্তীতে জনগণ স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রামে যেসব ধারণা ও মতবাদকে সাফল্যের সাথে তাদের কাজে লাগায় সেসব ধারণা ও মতবাদ সর্বপ্রথম উৎসারিত হয় এই মহান পরিষদ আন্দোলন থেকে। অধ্যাপক সেবাইনের ভাষায় বলা যায় যে, “পঞ্চদশ শতকের পরিষদ তত্ত্বের সাথে সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকে বিকাশপ্রাপ্ত স্বাতন্ত্র্যবাদ ও নিয়মতন্ত্রবাদ সম্পর্কিত চিন্তাধারার প্রত্যক্ষ যোগসূত্র বিদ্যমান।” প্রকৃতপক্ষে পরিষদ আন্দোলনের সাফল্যের জন্য না হলেও তার ভাবী প্রভাব ও প্রতিক্রিয়ার জন্য ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।


#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!