রাষ্ট্রদর্শনের ইতিহাসে আন্দোলনের পরিষদ তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।

admin

ভূমিকা : রাষ্ট্রদর্শনের ইতিহাসে আন্দোলনের পরিষদ তাৎপর্য

মধ্যযুগের রাষ্ট্রদর্শনের ইতিহাসে পরিষদ আন্দোলনের অবদান অনস্বীকার্য। মহাঅন্তবিরোধ উপশম করা এবং গির্জার অভ্যন্তরীণ প্রশাসনে আমূল পরিবর্তন করার মহান উদ্দেশ্যে পরিষদ আন্দোলন গড়ে ওঠেছিল। তা সম্পূর্ণ সফল না হলেও তাকে একেবারে ব্যর্থ বলা যায় না। এ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় নিয়ন্ত্রণবাদ । মধ্যযুগের গোপরা ছিল বিপুল সম্পদের মালিক। ফলে তারা অলস হয়ে পড়ে। তারা আরাম আয়েশে জীবন যাপন করতে থাকে। সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের আধিপত্য ছিল অপরিসীম। ফলে তাদের প্রতি জনসাধারণে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাই এ ক্ষোভ প্রশমনের জন্য, গীর্জার সংস্কার করার জন্য পরিষদ আন্দোলন ঘটে।


রাষ্ট্রদর্শনের ইতিহাসে আন্দোলনের পরিষদ তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।

পরিষদ আন্দোলনের গুরুত্ব :

কালের বিচারে মধ্যযুগের সর্বশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হলো পরিষদ আন্দোলন। প্রকৃত পক্ষে ও প্রকৃত অর্থে পরিষদ আন্দোলন ছিল একই সাথে একটি সমন্বয় সাধনকারী তত্ত্ব এবং এটি ছিল তত্ত্বনির্ভর আন্দোলন। আর এ আন্দোলনের ফলে পোপদের ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং পরিষদ আন্দোলনের হাতে তাদের অপসারণ ক্ষমতা ন্যস্ত হয়। নিম্নে পরিষদ আন্দোলনের গুরুত্ব আলোচনা বা বর্ণনা করা হলো :


১. সংস্কার আন্দোলন :

পরিষদ আন্দোলন ছিল মূলত এক সংস্কার আন্দোলন। এ আন্দোলনের ফলে নানামুখী সংস্কার সাধন করা হয়। বিশেষ করে পোপ ও রাজার মধ্যকার বিরোধের অবসান হয়। আর তাতে করে মধ্যযুগে সৃষ্টি হয় আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার। গির্জার সংস্কার সাধন করে পোপদের ক্ষমতা পরিষদ আন্দোলনের উপর ন্যস্ত হয়। তাছাড়া আরো নতুন নতুন সংস্কার সাধিত হয় এর মাধ্যমে।


২. পোপের ক্ষমতা হ্রাস :

পরিষদ আন্দোলনের ফলে পোপদের ক্ষমতা অনেকটা হ্রাস পায়। পরিষদ আন্দোলনের পূর্বে পোপরা ইউরোপ সমাজে ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠে। তারা ছিল চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী। পোপ নিজ ইচ্ছা অনুসারে চলাফেরা করত। তাছাড়া তাদের পাপের জন্য কেউ তাদের বাধা দিত না। কিন্তু পরিষদ আন্দোলনের ফলে তাদের ক্ষমতা অনেকটা হ্রাস করা হয় এবং পরিষদ আন্দোলনের উপর তাদের রা অপসারণ ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়।


৩. সামন্তবাদের প্রত্যাখ্যান :

মধ্যযুগের রাজনৈতিক ত অরাজকতার সুযোগে পোপরা ও রাজারা পরস্পর পরস্পরের বি মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি করে। পোপ ও সাম বাদ মিলে ভাগ এর বাটোয়ারা গড়ে ওঠে। জনগণের দান ও অন্যান্য উৎস থেকে প গির্জার সম্পদ বৃদ্ধি পেলে পোপরা অলস জীবন যাপন করেন এ তারা সামন্তবাদের সাথে গোপনে সম্পদ ভাগ বাটোয়ারা কর ফলে রাজারা তাদের বিরুদ্ধে এবং সামন্তবাদের অবস্থান নেয়। তারাতাদের প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু পরিসম আন্দোলনের ফলে লোকেরা সামন্তবাদের বিরোধিতা করে।


৪. গির্জা ও রাষ্ট্রের বিরোধের অবসান :

পরিষদ আন্দোলনের পদ ফলে গির্জা বনাম রাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে। পোপ রাজারা পরিষদ আন্দোলনের পূর্বে একে অপরের সাথে বিরেন বদ লেগে থাকত। কিন্তু পরিষন আন্দোলনের মাধ্যমে বিরোদের বং অবসান ঘটে আর প্রতিষ্ঠিত হয় আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং শান্তি।


৫. আধুনিক রাষ্ট্রের উৎপত্তি :

আধুনিক রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয় এক পরিষদ আন্দোলনের মাধ্যমে। পরিষদ আন্দোলনের মধ্যে নিহিত হয় ছিল আধুনিক চেতনার গুপ্ত বীজ। কেননা পরিষদ আন্দোলনে ফলে মধ্যযুগের রাষ্ট্রচিন্তা সম্পর্কে আধুনিকরা উচিন্তাবিদগণ তে নতুন তথ্যের সন্ধান পায়। তার মাধ্যমে তারা আলোচিত হয়ে ত্য নতুন নতুন দার্শনিক মতবাদ প্রদান করেছেন। তাদের এ । দার্শনিক ধারণা আধুনিক রাষ্ট্রের উৎপত্তিতে সহায়তা করে।


৬. খ্রিস্টানদের মধ্যে ঐক্য :

পরিষদ আন্দোলনের পূর্বে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে পাহাড় সমান ব্যবধান ছিল। কিন্তু পরিষদ আন্দোলন খ্রিস্টান সমাজের ঐক্যের সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করে। খ্রিস্টানরা পুরাতন বিশ্বাস ও ধ্যান-ধারণার মা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিল। কিন্তু পরিষদ আন্দোলন তাদের এ মাঝের কুসংস্কার দূর করে তাদের মাঝে সর্বপ্রথম ঐক্যের সেতু বন্ধন সৃষ্টি করে।


৭. গির্জার প্রাধান্য:

মধ্যযুগের রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে গির্জার প্রাধান্য ছিল। ফলে গির্জা ও রাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে থাকত। কিন্তু পরিষদ আন্দোলন সর্বপ্রথম গির্জা ও রাষ্ট্রের মধ্যকার বিরোধের অবসান করে। গির্জার ধর্মযাজকরা তাদের ইচ্ছামত কোন কিছু করলে তাদের কেউ কিছু বলত না। পরিষ আন্দোলন সর্বপ্রথম তাদের ক্ষমতা খর্ব করে এবং অপসারণ - ক্ষমতা তাদের হাতে নাস্ত হয়।


৮. নিয়ন্ত্রণবাদ প্রতিষ্ঠা :

পরিষদ আন্দোলনের বহু পূর্বে নিয়ন্ত্রণবাদ প্রচার শুরু হয়। রাষ্ট্রচিন্তাবিদগণ অভিমত প্রকাশ করেন। যে, অনেক বছর ধরে স্বেচ্ছাচার এর বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণবাদ নীতি পরিষদ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে ঠে। নি নীতি বহু আগে প্রচার হলেও তার সম্প্রসারণ তেমন বৃদ্ধি পায়নি। তাছাড়া পরিষদ আন্দোলনের ফলে নতুন নতুন চিন্তাবারা তৈরি হয়। ও রাষ্ট্রের শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।


৯. স্বেচ্ছাচার নিয়ন্ত্রণ :

পরিষদ আন্দোলনের পূর্বে পোলরা রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। ফলে গোপরা অনেকটা স্বেচ্ছাচারী শাসকে পরিণত হন। তাদের স্বেচ্ছাচারে রাজা তাদের সমালোচনা করে এবং তাদের প্রতি অনীহা প্রকাশ করেন। কিন্তু পরিমান আন্দোলন শুরু হলে স্বৈরাচারের ক্ষমতা অনেকট হ্রাস পায়। আর এধরনের আন্দোলন অব্যহত থাকার ন পরবর্তীকালে কোন ধরনের স্বেচ্ছাচার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সাহল পায়নি। তাই এ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাচার দূরীভূত হয়।


১০. সমস্যা চিহ্নিতকরণ :

পরিষদ আন্দোলনের ফলে মধ্যযুগে রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে যে ধরনের সমস্যা দেখা যায় তা চিহ্নিত করে তার সমাধান করার জন্য আত্মনিয়োগ করা হয়। বিশেষ করে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে যে বিভিন্ন সমস্যা। বিরাজমান ছিল তা চিহ্নিত করা সম্ভব ছিল না। আন্দোলনের পূর্বে। কিন্তু পরিষদ আন্দোলনের ফলে তার সমস্যা । চহ্নিত করে সমাধান করে আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়।


১১. গির্জার উন্নতি :

পরিষদ আন্দোলনের মাধ্যমে গির্জায় উন্নতি সাধিত হয়, যা পরিষদ আন্দোলনের পূর্বে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রচলিত ছিল। প্রশাসনিক কাঠামোর সংস্কার সাধন করার জন্য অনুমতি থাকলেও তা সংস্কার করা হয় নি। আর পরিষদ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রশাসনিক কাঠামোগত আমূল পরিবর্তন আনা হয় এবং গির্জার উন্নতি করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করা হয়। আর এতে খ্রিস্টান ধর্ম এক নতুন রূপ পরিগ্রহ করে।


১২. রাজনীতি থেকে ধর্ম পৃথক :

পরিষদ আন্দোলনের পূর্বে ধর্মের সাথে রাজনীতির সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। ধর্মের থেকে গোপরা জনগণকে শাসন করত। ধর্মের অন্তরালে তারা তাদের পার্থ হাসিলে নিয়োজিত থাকত। কিন্তু পরিষদ আন্দোলনের মাধ্যমে সর্বপ্রথম ধর্ম থেকে রাজনীতিকে পৃথক করা হয় এবং এ ধর্মকে আলাদা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার ফলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।


১৩. গির্জা ও রাষ্ট্রের মতবিরোধের অবসান :

মধ্যযুগের গির্জা ও রাষ্ট্রের মতবিরোধই মধ্যযুগের রাষ্ট্রদর্শনের পরিব্যাপ্তি নি ছিল। একদিকে গির্জার পুরোহিত এবং অন্যদিকে রাষ্ট্রের সম্রাট ইহলৌকিক ও পারলৌকিক উভয় জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে সচেষ্ট ছিল। ফলে উভয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে পারস্পরিক কলহ ও বিরোধের সৃষ্টি হয়। আর এ বিরোধে গির্জা বিজয়ী হয় এবং ক্রমে এর ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু পরিষদ আন্দোলনের মাধ্যমে গির্জা ও রাষ্ট্রের মতবিরোধের অবসান ঘটে।


৪. রাষ্ট্রতত্ত্বে উপস্থিতি :

প্রথম দিকে মধ্যযুগীয় চিন্তাধারায় শুধু ধর্মীয় চিন্তাধারার প্রভাব লক্ষ করা যায়। পার্থিব জগৎ ও রাজনৈতিক বিষয়াদির ব্যাপারে এটি কখনো মনোনিবেশ করেনি। রাষ্ট্রতত্ত্ব সম্পর্কে কোন বিষয়াদি মধ্যযুগের চিন্তাধারার অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ যুগ রাজনীতিকে একটি পৃথক বিষয় হিসেবে মনে করেনি। কিন্তু পরিষদ আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয় এবং রাজনীতিকে আলাদা করা হয়।


১৫. পোপতন্ত্রের অবসান :

মধ্যযুগের প্রথম পর্বে পোপ তোর প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নতুন টেস্টামেন্ট অপেক্ষা পুরাতন বি টেস্টামেন্টকে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। বলে প্রচার করায় পুরোহিততন্ত্র বা যাজকতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। পুরাতন টেস্টামেন্ট ে অনুযায়ী আইন হচ্ছে খোদার ইচ্ছার অভিব্যক্তি বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু পরিষদ আন্দোলনের মাধ্যমে পোপতন্ত্রকে রাজনীতি থেকে আলাদা করে তাকে অবসান করা হয়।


১৬. পোপদের বিলাস জীবনের অবসান :

গির্জার সম্পত্তি বৃদ্ধি পাবার ফলে পুরোহিতদের নৈতিক অবক্ষয় ঘটে। তারা ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি অনীহা প্রকাশ করে। বিলাসবহুল। জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। গির্জা প্রধানদের বিলাসে বহুল জীবনযাপনের এবং ক্ষমতার অপব্যবহার সমাজে বিদ্যমান না প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে এবং সর্বশেষ পর্যায় হিসেবে রাজাদের সাথে সংঘাত হয়। কিন্তু পরিষদ আন্দোলনে তাদের বিলাসবহুল জীবনের অবসান হয়।


৭. কর প্রথার উচ্ছেদ:

মধ্যযুগের রাষ্ট্রচিন্তার পোপরা প্রশাসনিক কাজে। অভিজ্ঞ ছিল। এ কারণে তারা জায়গিরের বিশেষ দায়িত্ব পালন করতো। যার ফলে তার সম্পদ বৃদ্ধির অন্য আরোপ করার প্রথা চালু করেন। ফলে তাদের সাথে রাজাদের মতবিরোধের ধারা সৃষ্টি হয়। পরিষদ আন্দোলন সর্বপ্রথম তাদের ক্ষমতা সর্ব করে কর প্রতার উচ্ছেদের ব্যবস্থা করে।


১৮, রাজনীতির উপর খ্রিস্টানদের প্রভাব :

মধ্যযুগের খ্রিস্টান ধর্ম রাজনীতির উপর প্রচণ্ড প্রভাব বিস্তার করেছিল।। কোন কোন সময় মনে হয়েছিল যে, রাজনীতিকে ধর্ম বা গির্জা থেকে আলাদা করা যাবে না কিন্তু স্টার এ প্রভাব বেশি দিন স্থায়িত্ব লাভ করেনি। নানা কারণে খ্রিস্টানদের রাজনীতির উপর থেকে ক্ষমতা কমতে থাকে যার কারণ ছিল পরিষদ আন্দোলন। পরিষদ আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতির উপর খ্রিস্টানদের প্রভাব কমতে থাকে।


১৯ স্বৈরতন্ত্রের অবসান :

মহাঅন্তর্বিরোধ উপশম করে গির্জার অভ্যন্তরীণ প্রশাসনে আমূল পরিবর্তন আনার জন্য যে , উদ্দেশ্যে পরিষদ আন্দোলন না হয় তা সম্পূর্ণ সফল না হলেও ৪ তাকে ব্যর্থ বলা যায় না। এ আন্দোলনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণবাদ এবং মিশ্র সরকারের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে এবং স্বৈরতন্ত্রের প্রতি মানুষের অনীহা সৃষ্টি হয়। আর এ পরিষদ আন্দোলন স্বৈরতন্ত্র দমনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।


২০. ধর্মীয় আধিপত্যের অবসান :

পরিষদ আন্দোলনের পূর্বে ধর্মীয় প্রভাব বিদ্যমান ছিল। পোপরা ছিল সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। পরিষদ আন্দোলনের ফলে ধর্মীয় আধিপত্যের অবসান হয় এবং এভাবে ধর্মীয় আধিপত্য ও স্বৈরশাসককে পেছনে ফেলে বিশুদ্ধ রাষ্ট্রচিন্তার উৎপত্তি ঘটে।


উপসংহার:

পরিশেষে বলা যায় যে, মধ্যযুগের রাষ্ট্রব্যবস্থায় যেখানে গির্জা ও পোপের প্রাধান্য ছিল প্রধান সেখানে পরিষদের আন্দোলন পোপের ক্ষমতাকে হ্রাস করে রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে আছে। বিভিন্ন কারণে মধ্যযুগের ইতিহাসে পরিষদ আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং আজও তা বিদ্যমান। আর আজও এ আন্দোলনের গুরুত্বকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। ধর্মীয় আধিপত্যের অবসান হয় এবং স্বৈরশাসকের শাসনাকে পেছনে ফেলে বিশুদ্ধ রাষ্ট্রচিন্তার উৎপত্তি । ঘাটে। অপরদিকে আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তাবিদগণ রাজনীতির ব্যাখ্যায় ধর্মকে বাতিল করতে সাহসী হয়ে ওঠেন। এদিক থেকে বলা যায়, এ আন্দোলনের ব্যর্থতাই সংস্কার আন্দোলনের অনুদাতা।


#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!