শিক্ষণ কি? শিক্ষা প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর ।

admin

ভূমিকা :

শিক্ষণ একটি ধারণা (Concept) যা পর্যবেক্ষণযোগ্য ঘটনা থেকে অনুমিত হয়। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের সাথে খাপখাইয়ে চলতে হয়। অন্যান্য যে কোন প্রাণীর তুলনায় খাপখাওয়ানোর প্রক্রিয়া আমাদের অনেক বেশি। ( Adaptation is a process of changing our behaviour)। Adaptation কে আমরা শিক্ষণ বলছি। শিক্ষণ হল একটি আজীবন মৌল প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তি নতুন কোন বিষয় সম্বন্ধে আয়ত্ত করে। আমরা সবকিছু শিক্ষা গ্রহণ করি না। জীবনের সাথে তাৎপর্যপূর্ণ যেগুলো সেগুলো শিখি। আর যেগুলো অর্থপূর্ণ নয় সেগুলো শিখি না। যেমন- আমরা দুপুরের রোদে খেলা করি না, কারণ গরম লাগতে পারে। এভাবেই আমরা Learn করি।


শিক্ষণ কি? শিক্ষা প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর

শিক্ষণ :

অভিজ্ঞতা ও অনুশীলনের ফলে আচরণের যে অপেক্ষাকৃত স্থায়ী পরিবর্তন হয়, তাকে শিক্ষণ বলে। অর্থাৎ, অতীত অভিজ্ঞতার মধ্যে নতুন বিষয় আয়ত্ত করাই হল শিক্ষণ। শিক্ষণ সম্পর্কে মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। শিক্ষণে অভ্যন্তরীণ, স্নায়বিক বা মানসিক প্রক্রিয়াগুলো সম্বন্ধে তারা নানা ধরনের অনুমান করেন। সুতরাং, বলা যায় সূক্ষ্ম দক্ষতা বারবার চর্চা করে যখন কার্যে পরিণত হয় এবং অতীত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে যখন নতুন বিষয় আরম্ভ হয়, তখন তাকে শিক্ষণ বলে ।


Crider and others (1983) মতে, "Learning can be define as a relatively permanent change in immediate or potential behaviour that results for experience."


এ সংজ্ঞায় শিক্ষণের তিনটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়। যেমন-

১. শিক্ষণ হল আচরণের পরিবর্তন। শিক্ষণ হলে আচরণের পরিবর্তন ঘটবে। আচরণের পরিবর্তন না হলে তাকে শিক্ষণ বলা যাবে না-


২. আচরণের যে পরিবর্তন ঘটে তা মূলত অনুশীলন বা অভিজ্ঞতার ফলে। এ পরিবর্তন শারীরিক বৃদ্ধি বা পরিপক্বতা বা দুর্ঘটনার কারণে হলে তা শিক্ষণ হবে না।


৩. আচরণের পরিবর্তন মোটামুটি দীর্ঘস্থায়ী হতে হবে। এ পরিবর্তন যদি সাথে সাথেই মুছে যায়, তাহলে শিক্ষণ হবে না। উড়ওয়ার্থ এবং মারকুইস এর মতে, “শিক্ষা মানে ব্যক্তির বিদ্যা বা দক্ষতার সাথে নতুন কিছু যোগ করা।”


Morgan and King এর মতে, “শিক্ষণকে আচরণের যে কোন তুলনামূলক স্থায়ী পরিবর্তন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে, যা অনুশীলনের বা অভ্যাসের ফলে সংঘটিত হয়।


E. R. Hillgard (1962) এর মতে, “শিক্ষণ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন কার্যকলাপের উদ্ভব হয় বা কোন একটি পরিবেশের প্রতি প্রতিক্রিয়া করার ফলে আচরণের পরিবর্তন সূচিত হয়, তবে প্রাণীর এ পরিবর্তনগুলো দৈহিক বিকাশ বা কোন সাময়িক অবস্থার দ্বারা সৃষ্টি হতে পারে না।”


উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, অভিজ্ঞতা বা অনুশীলনের ফলে আমাদের আচরণের মধ্যে যে অপেক্ষাকৃত স্থায়ী পরিবর্তন আসে তাকে শিক্ষণ বলে। তবে কোন বিশেষ কারণ যেমন- অসুস্থতা, অপরিপক্বতা ইত্যাদি কারণে আমাদের আচরণের মধ্যে যে স্বল্পস্থায়ী পরিবর্তন আসে তা কখনও শিক্ষণ হতে পারে না।”


শিক্ষণের বৈশিষ্ট্য :

শিক্ষণের সংজ্ঞা আলোচনা করলে এর কতকগুলো বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। শিক্ষণের প্রধান বৈশিষ্ট্য হপ অনুষঙ্গ বা সংযোগ। যে কোন ধরনের শিক্ষণে একটি উদ্দীপকের সাথে এক বা একাধিক উদ্দীপকের সংযোগ ঘটে। নিম্নে শিক্ষণ প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হল :


১. অর্জন প্রক্রিয়া (Acquisition Process) : শিক্ষণ একটি মাত্র প্রচেষ্টায় সম্পন্ন হয় না। চিরায়ত সাপেক্ষণের নিয়মানুসারে দেখা যায় যে, সাপেক্ষ প্রতিবর্তী প্রতিষ্ঠার জন্য সাপেক্ষ উদ্দীপক ও অসাপেক্ষ উদ্দীপককে যুগ্মভাবে অথবা অল্প সময়ের ব্যবধানে বহু সংখ্যক বার উপস্থিত করতে হয়। সাপেক্ষ ও অসাপেক্ষ উদ্দীপক যত বেশি বার উপস্থিত করা হয়, সাপেক্ষ উদ্দীপকও সাপেক্ষ প্রতিক্রিয়ার তত শক্তি বৃদ্ধি পায়। যেমন- প্রথমবার সাপেক্ষ ও অসাপেক্ষ উদ্দীপক একত্রে উপস্থিত করলে প্রথম পরখ প্রচেষ্টায় (Text trial) এ শুধুমাত্র সাপেক্ষ উদ্দীপকটি উপস্থিত করা হলে লালাক্ষরণ হয় না। কিন্তু ক্রমশ সাপেক্ষ ও অসাপেক্ষ উদ্দীপক আরও বেশি সংখ্যকবার উপস্থিত করা হলে শুধু সাপেক্ষ উদ্দীপকের উপস্থিতিতে লালাক্ষরণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। অনুশীলন বা প্রচেষ্টার সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে সাপেক্ষ প্রতিক্রিয়ার সংখ্যা বা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়াকে অর্জন ক্রিয়া বলে।


দৃষ্টান্তস্বরূপ দেখা যায়, আমরা যখন টাইপ করতে শিখি তখন প্রথম দিকে ভুলের সংখ্যা বেশি থাকে। কিন্তু বারবার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকলে ভুলের সংখ্যা কমে যায় এবং সঠিক শব্দ টাইপ করার সংখ্যা বেড়ে যায়। তবে অনেক মনোবিজ্ঞানী মনে করেন, একটি মাত্র প্রচেষ্টায়ও শিক্ষণ হতে পারে। গাথরি মনে করেন, একটি মাত্র প্রচেষ্টায় শিক্ষণ সম্ভব। কোহলার শিম্পাঞ্জিদের নিয়ে অন্ত দৃষ্টিমূলক শিক্ষণ সম্পর্কে যে পরীক্ষণ করেছিলেন সেগুলো থেকে একটি মাত্র প্রচেষ্টায় সমস্যার সমাধানমূলক শিক্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে অন্তর্দৃষ্টিমূলক শিক্ষণে প্রাণী বহুসংখ্যক ভুল প্রতিক্রিয়া করে এবং সে এসব ভুলগুলোকে সমস্যার সমাধানে কাজে লাগায় বলে মনে হয়।


আরো পড়ুন: বলীয়ানকরণ সময়সূচি কি বিভিন্ন প্রকার বলীয়ানকরণ  সময়সূচি বিস্তারিতভাবে আলোচনা কর।

২. সার্বিকরণ (Stimulus Genertization): মনোবিজ্ঞানী প্যাভলভ চিরায়ত সাপেক্ষণের পরীক্ষণের সময় লক্ষ্য করেন যে, একটি সাপেক্ষ উদ্দীপকের সাথে একটি সাপেক্ষ প্রতিক্রিয়ার সংযোগ স্থাপিত হওয়ার পরে অর্থাৎ, সাপেক্ষ প্রতিবর্তী প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে সাপেক্ষ উদ্দীপকের সদৃশ অন্যান্য উদ্দীপকও সাপেক্ষ প্রতিক্রিয়াটি সৃষ্টি করে থাকে। এ ঘটনাকে সার্বিকরণ বা উদ্দীপকের সামান্যীকরণ বলা হয়। যেমন- ঘণ্টাধ্বনির প্রতি লালাক্ষরণ প্রতিক্রিয়ার সাপেক্ষণ করা হলে পরবর্তীকালে ঝুনঝুনির শব্দেও লালাক্ষরণ প্রতিক্রিয়াটি ঘটবে। চিরায়ত সাপেক্ষণের মত করণ শিক্ষণেও সার্বিকরণ ঘটে থাকে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, একটি প্রাণীকে প্রথমে একটি হুড়কায় চাপ দিয়ে খাদ্য পেতে শেখানো হল।


আরো পড়ুন: বলবর্ধক কি? মুখ্য ও গৌণ বলবর্ধক সম্পর্কে যা জান লিখ।

পরবর্তী পর্যায়ে প্রাণীটিকে শেখানো হয় শুধুমাত্র একটি সংকেতের উপস্থিতিতে হুড়কায় চাপ দিলে খাদ্য পাওয়া যাবে, অন্য পরিস্থিতিতে নয়। এসব ক্ষেত্রে একটি সুর বা আলোকরশ্মিকে পৃথকীকরণ উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, একটি সুর বাজালে হুড়কায় চাপ দিলে খাদ্য আসবে, সুর না বাজালে এ প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্য পাওয়া যাবে না। এ ধরনের শিক্ষণের পর যদি সুরের তীব্রতার পরিবর্তন করা হয় তাহলে প্রাণীটি খাদ্য পাওয়ার জন্য হুড়কায় চাপ দেবে। এ ঘটনাকে বলা হয় সার্বিকরণ।


৩. পৃথকীকরণ (Discrimination) : পৃথকীকরণ হল সার্বিকরণের বিপরীত প্রতিক্রিয়া। সার্বিকরণে যা স্বীকার করা হয় পৃথকীকরণে তা অস্বীকার করা হয়। পৃথকীকরণ শিক্ষণের জন্য প্রয়োজন শুধুমাত্র একটি উদ্দীপকের প্রতি প্রতিক্রিয়াগুলোকে সন্তুষ্টি প্রদান থেকে বিরত থাকা। আমরা যে উদ্দীপকটির প্রতি প্রতিক্রিয়াটি শিক্ষা করতে চাই সেটিকে বলি ধনাত্মক উদ্দীপক (Positive Stimulus)। অন্যান্য যেসব উদ্দীপকের প্রতি প্রতিক্রিয়ার বিলুপ্তি ঘটাতে চাই সেগুলোকে বলি ঋণাত্মক উদ্দীপক (Negative Stimulus)। করণ শিক্ষণ অনুযায়ী দেখা যায়, একটি কবুতরকে একটি হলদে সবুজ আলোয় আলোকিত চাকতিতে ঠোকর দিলে খাদ্য দেওয়া হয়।


কয়েকদিন চেষ্টার পর কবুতরটি প্রতিক্রিয়াটি শিখতে পারে। প্রতিক্রিয়ার হার উঁচু পর্যায়ে রাখার জন্য মাঝে মাঝে হলদে সবুজ আলোয় চাকুতিটি আলোকিত করার মধ্যবর্তী সময়ে পরিবর্তনশীল সূচিতে কবুতরটিকে খাদ্য দেওয়া হয়। কিন্তু চাকুতিটিকে যদি লাল আলোতে আলোকিত করা হতো তাহলে কবুতরটি এ চাকতিটিতে ঠোকর দিলে খাদ্য দেওয়া হতো না । ফলশ্রুতিতে দেখা গেল, কবুতরটি শুধুমাত্র হলদে-সবুজ আলোয় আলোকিত অবস্থায় চাকতিটিতে ঠোকর দিতে শিখেছে কিন্তু লাল আলোয় আলোকিত অবস্থায় ঠোকর দিচ্ছে না। এমনিভাবে পৃথকীকরণ শিক্ষণের ফলে উদ্দীপকের পরিবর্তনের ফলে আচরণেও নাটকীয় পরিবর্তন দেখা দেয়।


৪. শিক্ষণের বিলুপ্তি (Extinction) : চিরায়ত সাপেক্ষণে একটি সাপেক্ষ উদ্দীপকের প্রতি একটি সাপেক্ষ প্রতিক্রিয়ার সংযোগ স্থাপিত হওয়ার পর অর্থাৎ, সাপেক্ষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরবর্তীকালে যদি বারবার শুধুমাত্র সাপেক্ষ উদ্দীপকটিকে এককভাবে উপস্থিত করা হয় এবং অসাপেক্ষ উদ্দীপকটিকে উপস্থিত করা না হয়, তাহলে ধীরে ধীরে সাপেক্ষ প্রতিক্রিয়াটি দুর্বল হয়ে আসবে। অবশেষে এমন এক সময় আসবে যখন সাপেক্ষ উদ্দীপকটি আর সাপেক্ষ প্রতিক্রিয়াটি সৃষ্টি করবে না। ঘণ্টাধ্বনি তড়িতাঘাত একত্রে উপস্থিত করে ঘণ্টাধ্বনির প্রতি মাংশপেশীর সংকোচনের সাপেক্ষণ করা যায়।


কিন্তু পরবর্তীকালে বারবার ঘণ্টাধ্বনি দেওয়ার পর তড়িতাঘাত না দেওয়া হলে ক্রমশ প্রতিক্রিয়াটির বিলুপ্তি ঘটে। অর্থাৎ, সাপেক্ষ প্রতিবর্তী প্রতিষ্ঠার পর অসাপেক্ষ উদ্দীপক ছাড়া শুধুমাত্র সাপেক্ষ উদ্দীপকটিকে বারবার উপস্থিত করা হলে সাপেক্ষ প্রতিক্রিয়াটির শক্তি ধীরে ধীরে কমে যায়। এ প্রক্রিয়াকে শিক্ষণের বিলুপ্তি বলে । দৃষ্টান্ত স্বরূপ দেখা যায়, কোন একটি প্রাণীকে একটি সন্তুষ্টির মাধ্যমে একটি প্রতিক্রিয়ার অভ্যাস গঠন করা হলে পরবর্তীতে যদি আচরণটি ঘটনার পর সন্তুষ্টি না দেওয়া হয়, তাহলে প্রতিক্রিয়াটি ঘটবার হার ধীরে ধীরে কমে যায় এবং অবশেষে উক্ত অবস্থা বা পরিস্থিতিতে প্রাণী আর আচরণটির পুনরাবৃত্তি করে না। এখানে দেখা যায়, হুড়কায় চাপ দেওয়ার পর প্রাণীকে খাদ্য দেওয়া না হলে প্রতি ঘণ্টায় ইঁদুরের হুড়কায় চাপ দেওয়ার সংখ্যা কমে যায় এবং অবশেষে সে প্রতিক্রিয়াটি সম্পূর্ণ ত্যাগ করে।


৫. স্বতঃস্ফূর্ত পুনরাগমন (Spontaneous Recovery) : বিলুপ্তি হল এমন একটি প্রতিক্রিয়া যা পূর্বে সাপেক্ষণকৃত হয়েছিল, তা না করতে শেখা। অর্থাৎ, বিলুপ্তি হল সাপেক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত প্রতিক্রিয়াকে অবদমন করতে শেখা। এটা হল মূল সাপেক্ষ প্রতিবর্তীর উপর উপস্থাপিত একটি নতুন ধরনের শিক্ষণ। উল্লিখিত প্রক্রিয়াটির প্রমাণ পাওয়া যায় স্বতঃস্ফূর্ত পুনরাগমনের মাধ্যমে। এছাড়া কোন একটি সাপেক্ষ প্রতিবর্তী ক্রিয়ার বিলুপ্তি ঘটানোর পর প্রাণীকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিয়ে পুনরায় সাপেক্ষ উদ্দীপকটিকে উপস্থিত করা হলে বিলুপ্ত প্রতিক্রিয়াটির কিছুটা শক্তি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পুনরুজ্জীবিত হয়। অর্থাৎ, সাপেক্ষ প্রতিক্রিয়াটি কিছুটা দুর্বলভাবে পুনরায় সৃষ্টি হয়।


এ ঘটনাকে বলে স্বতঃস্ফূর্ত পুনরাগমন। দৃষ্টান্তস্বরূপ, ঘণ্টাধ্বনির প্রতি কুকুরের লালাক্ষরণ প্রতিক্রিয়াটির বিলুপ্তি ঘটানো হলে পরে কুকুরটিকে কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম দিয়ে আবার গবেষণাগারে আনা হলে এবং পুনরায় ঘণ্টাধ্বনি উপস্থিত করা হলে কয়েক ফোটা লালাক্ষরণ ঘটবে। এ পর্যায়ে প্রাণীকে আর কোন সময় ঘণ্টাধ্বনির সাথে খাদ্য না দিয়ে শুধুমাত্র ঘণ্টাধ্বনি উপস্থিত করতে থাকলে ক্রমশ লালাক্ষরণ একবারে শূন্যে পৌঁছাবে। এটা হল পুনর্বিলুপ্তি।


আরো পড়ুন: শিক্ষণে বলবৃদ্ধির অনুসূচিসমূহ আলোচনা কর।


উপসংহার :

উপরিউক্ত আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, শিক্ষণের গবেষণায় উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো ছিল অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর মাধ্যমে শিক্ষণতত্ত্ব অনেকটা সফল হয়েছে। তবে শিক্ষণের বৈশিষ্ট্যগুলো যে একবারে ত্রুটিমুক্ত তাও সঠিক নয়। কারণ, এগুলোর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাখ্যাগত অস্পষ্টতা রয়েছে। যে অস্পষ্টতার জন্য এ শিক্ষণতত্ত্ব সফল হতে ব্যর্থ হয়। তবে শিক্ষণতত্ত্ব সম্পর্কে থনডাইক, স্কিনার ও প্যাভলভ গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব দিয়ে এর ভাণ্ডারকে অনেকটা পূর্ণ করেছেন।


#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!