ভূমিকা :
ষোড়শ লুইয়ের প্রাণদণ্ডের সাথে সাথে ফ্রান্সের ভিতরে ও বাইরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ইউরোপের রাজতান্ত্রিক শক্তিগুলো একটি মৈত্রী জোট গঠন করে ফ্রান্সের বিপ্লবের মানসিকতা নির্মূল করার জন্য চেষ্টা । পরিস্থিতিতে জাতীয় কনভেনশন 'জননিরাপত্তা সমিতি' নামে একটি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন পরিষদ গঠন করে এর উপর রাষ্ট্রের শাসন কর্তৃত্ব অর্পণ করে। এ দিকে জাতীয় সম্মেলন আবৃত হওয়ার পর হতে চরমপন্থি, বামপন্থি, জেকোবিন দল ও নরমপন্থি গিরডিস্ট দলের মধ্যে আদর্শগত বিরোধ দেখা দেয়। শেষে জেকোবিন দলের প্রাধান্য স্থাপিত হয়। এ জেকোবিন দলের নেতৃত্ব অরাজকতা দমনের জন্য সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়।
সন্ত্রাসের রাজত্ব :
উগ্রপন্থি জেকোবিন দল কর্তত্ব ফ্রান্সের শাসন কর্তৃত্ব গ্রহণের সাথে সাথে ফরাসি বিপ্লবের ইতিহাসে এক ভয়াবহ অধ্যায় আরম্ভ হয়। জেকোবিন দল কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বিপ্লবের এ ভয়াবহ অধ্যায়টিই সন্ত্রাসের রাজত্ব নামে পরিচিত। মূলত ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ৯ মার্চ বিপ্লবী বিচারালয় গঠিত হওয়ার পর থেকে শুরু করে ১৭৯৪ খ্রিষ্টাদে ৮ জুলাই রোবসপিয়ারের মৃত্যুদণ্ডের দিন পর্যন্ত সময়কে সন্ত্রাসের রাজত্ব বলা হয়ে থাকে। এ সময়কালে জেকোবিন দল একটি সন্ত্রাসবাদী সরকার গঠন করে সমগ্র ফ্রান্সে কল্পনাতীত রক্তাক্ত, হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের মাধ্যমে লোমহর্ষক অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছিল। তবে কোনো কোনো ঐতিহাসিক একে 'অনাবশ্যক রক্তাক্ত বিপ্লব' বলে অবিভহিত করলেও এর প্রয়োজন ছিল একথা মনে করা হয়।
সন্ত্রাসের রাজত্বের কারণ বা প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্বের কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো -
১. বৈদেশিক শক্তির আশঙ্কা : রাজা ষোড়শ লুই পলায়ন করতে গিয়ে ধরা পড়েন। এটা ছিল রাজার জন্য মর্যাদাহানিকর। এ ঘটনায় ইউরোপীয় যেসব দেশে রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল তারা আতংকিত বোধ করেন এবং এ সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করেন।
২. ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ : ইউরোপের রাজতন্ত্রের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য অস্ট্রিয়া, প্রুশিয়া প্রভৃতি দেশ একটি শক্তি সংঘ গঠন করেন। এ শক্তি সংঘের উদ্দেশ্য ছিল ফ্রান্সকে পরাজিত রাজতন্ত্র পুনর্বহাল করা। আর এ শক্তি সংঘরে মোকাবিলা করার জন্য সন্ত্রাসের শাসনের প্রয়োজন ছিল।
৩. ফরাসি সৈন্যের দুর্বলতা : ফরাসি সেনাবাহিনী শৃঙ্খলাবোধের অভাবে শক্তি সংঘের সাথে টিকতে পারেনি। উদাহরণস্বরূপ দুমরিজ অস্ট্রিয়ার কাছে পরাজিত হওয়ার পরে ফরাসি সৈন্যদের সমর্থন ও আনুগত্য লাভ না করায় অস্ট্রিয় বাহিনীতে যোগ দেয়। এ মুহূর্তে ফরাসি বিপ্লবের উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করার জন্য জেকাবিন দলের নেতারা এ শাসন বেছে নেন।
৪. অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি : বৈদেশিক ক্ষেত্রে ফ্রান্স যখন চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন, তখন অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে চরম বিশৃঙ্খলা চলছিল। ফ্রান্সের বিভিন্ন স্থানে রাজতন্ত্রের সমর্থকরা সংগঠিত হতে থাকেন। এতে যাজকরাও যোগ দেন। ফলে রাজতন্ত্রের সমর্থকরা প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
৫. সন্ত্রাসের শাসন প্রতিষ্ঠা : ফ্রান্স যখন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সর্বক্ষেত্রে চরম বিপদের সম্মুখীন, তখন ন্যাশনাল কনভেনশন-এর গিরডিস্ট সদস্যরা আস্থা হারান এবং জেকোবিনদের নেতৃত্বে বিপ্লবের আদর্শের প্রতি ফরাসিবাসীর আনুগত্য সুনিশ্চিত করার জন্য সন্ত্রাসের শাসন প্রবর্তিত হয়। জেকোবিন দল ফ্রান্সে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য 'জননিরাপত্তা সমিতি'-এর হাতে প্রভূত দায়িত্ব দিয়েছিল। এ সমিতির সদস্যগণ যাতে দায়িত্ব পালন করতে পারে এজন্য তাদের হস্তে প্রভূত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। কনভেনশন এ সমিতির সকল বিধিব্যবস্থাকে নির্দ্বিধায় অনুমোদন দিতে লাগল।
এক কথায় কনভেনশন জননিরাপত্তা সমিতির আজ্ঞাবহ যন্ত্রে পরিণত হলো। প্যারিসের সন্ত্রাসবাদীদের সংখ্যা ছিল মাত্র তিন হাজার জননিরাপত্তা সমিতি মাত্র এগারো জন সদস্যকে নিয়ে গঠিত হয়। রোবসপিয়ার ছিলেন এ সমিতির প্রধান। এ সমিতি তিনটি যন্ত্রের সাহায্যে (১৭৯৩-১৭৯৪) প্রায় এক বছর কাল স্বৈরাচারী ক্ষমতা প্রয়োগ করে সন্ত্রাসবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করে। যথা :
১. সন্দেহের আইন,
২, বিপ্লবী বিচারালয়,
৩. বিপ্লবের বধ্যভূমি।
সন্দেহের আইন অনুসারে যে কোনে ব্যক্তিকে সাধারণতন্ত্র বিরোধী বলে সন্দেহ হলে গ্রেফতার করা বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। তাই বিপ্লবী বিচারালয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আদালত হিসেবে যে রায় দিত তা চূড়ান্ত বলে গণ্য হতো। বিপ্লবী বিচারালয়ে মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা উচ্চারিত হওয়া মাত্র দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে রাজপথে নিয়ে গিয়ে গিলোটিনের আঘাতে তার মস্তক দ্বিখণ্ডিত করা হতো। প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মেরি অ্যান্টোয়নেটি, মাদাম রোল্যা ও গিরডিস্ট দলের ত্রিশ জন সদস্য।
৬. সন্ত্রাসবাদী নায়কদের পরিণতি : সন্ত্রাসবাদী নায়কদের মধ্যে রক্তপিপাসু 'মায়া' নামক জনৈক মহিলা আততায়ীর হাতে ছুরিকাঘাতে নিহত হন। হেরাট ছিলেন উগ্র ও চরম সন্ত্রাসবাদী। তিনি বলতেন নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেককে হত্যা করা উচিত। উগ্র সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে তাকে গিলোটিনে হত্যা করা হয়। হেরাটের পতনের পর দাঁতো সন্ত্রাসবাদী শান পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। উদারপন্থি মনোভাবের জন্য তিনি চরমপন্থি রোবসপিয়ারের রোষানলে পতিত হন এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাকে গিলোটিনে হত্যা করা হয় । দাঁতোর পতনের পর রোবসপিয়ার নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হন।
৭. সন্ত্রাসী রাজত্বের অবসান : চরমপন্থি জেকোবিন দলের নিষ্ঠুর নেতা রোবসপিয়ারের রক্তলোলুপ নীতি সাম্রাজ্যের সহকর্মীদের গিলোটিনে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যুর সাথে সাথে ফ্রান্সে সন্ত্রাসের রাজত্বের অবসান হয়। ভিতরে ও বাইরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। তাই পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে রোবসপিয়ার ও তাঁর সন্ত্রাসের রাজত্বের সুফল বা গুণাবলি : নিম্নে সন্ত্রাসের রাজত্বের সুফল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো -
১. ফ্রান্সের প্রতিবিপ্লব ধ্বংস : অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে একদিকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ প্রতিবিপ্লব ও অরাজকতার ফলে ফ্রান্স যে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল, সন্ত্রাসের রাজত্ব তার অবসান ঘটিয়ে ফ্রান্সের জাতীয় ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিল।
২. বিপ্লবের আদর্শ রক্ষা : সন্ত্রাসী রাজত্বের ফলে ফ্রান্সে বিপ্লবের আদর্শ রক্ষা পায়। ঐতিহাসিক রাইডার বলেন, The Terror saved the revolution, মাতি নামক বিখ্যাত ঐতিহাসিক বলেন, “সমাজে বিপ্লবের আদর্শকে রক্ষা করার জন্য সন্ত্রাসের রাজত্বের প্রয়োজনীয়তা ছিল।”
৩. জনসাধারণের মঙ্গল : সাধারণত রাজনীতি ঘেষা লোকেরাই সন্ত্রাসের শিকার হয়। সাধারণ লোকদের সন্ত্রাস স্পর্শ করেনি। প্যারিসের সাধারণ নাগরিক যে সন্ত্রাসের জন্য ভয়ে সর্বদা আতঙ্কে থাকত একথা বলা যাবে না, বরং সন্ত্রাসের আমলে প্যারিসের থিয়েটার ও অপেরা হলগুলো দর্শকে পূর্ণ থাকত। রেস্তোরাঁগুলো আড্ডাবাজ লোকে ভর্তি থাকত। বিলাসিনী নারীরা সোনার তৈরি গিলোটিনের মডেল গলার হারের লকেট হিসেবে ব্যবহার করত। জিনিসপত্রের দাম সস্তা হওয়ায় জনসাধারণের উপকার হয়।
৪. বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিহত : সমসাময়িক কালে ফ্রান্স বহিঃশত্রু দ্বারা যেরূপ আক্রান্ত হয়েছিল সন্ত্রাসবাদী শাসন দ্বারা একমাত্র এ আক্রমণকে প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছিল।
৫. অর্থনৈতিক সংস্কার : প্রগতিশীল সংস্কার প্রবর্তনে এ শাসনব্যবস্থা সহায়তা করেছিল। মাতিমে নামক ঐতিহাসিকের মতে, সমাজে বিপ্লবের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সন্ত্রাসের শাসনকালে একমাত্র "Law of maximum" দ্বারা মূল্য নিয়ন্ত্রণ, দশমিক মুদ্রার ওজন প্রবর্তন, ভূমিহীনদের মধ্যে ভূমি বণ্টন, সবাইকে ন্যায্য হারে কর দানে বাধ্য করা প্রভৃতি প্রগতিশীল সংস্কার কার্য চালু করা সম্ভব হয়েছিল।
সন্ত্রাসের রাজত্বের কুফল : সন্ত্রাসের রাজত্বের কুফল সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. গণতান্ত্রিক আদর্শের বিরোধী : সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল গণতান্ত্রিক আদর্শের পুরোপুরি বিরোধী। বিনা বিচারে ও বিনা দোষে বেশকিছু লোককে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মাদাম রোলান্ড, ডাল্টন প্রমুখ বিপ্লবীরাও সন্ত্রাসীদের করালগ্রাসে প্রাণ হারান। মাদাম রোলান্ড এজন্য আক্ষেপ করে বলেছেন “হায় স্বাধীনতা, তোমার নাম লইয়া কত না অনাচার করা হইতেছে।
২. বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি : সন্ত্রাসের রাজত্বের ফলে বিচারব্যবস্থা ব্যাপক দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অধিকাংশ সময়ে বিচারের নামে প্রহসন করে বহু নিরপরাধ লোককে অপরাধী বলে রায় দেওয়া হয়। বহু নির্দোষ লোকেরাও সন্ত্রাসের বলি হতো।
৩. অপদার্থরাই জনতার নেতা : সন্ত্রাসের রাজত্বের ফলে জনতার নেতা রূপে নিজেদের নেতা রূপে প্রকাশ করে এক শ্রেণির অপদার্থ ও দায়িত্বহীন লোক। তেইন এসব নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, “এসব নেতারা ছিল পচা, সমাজের গোবরের গাদায় সাজানো ব্যাঙের ছাতা বিশেষ।”
৪. ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব : মূলত ব্যক্তিস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে এ বিপ্লবীরা অগ্রসর হয়েছিল। কিন্তু এ সন্ত্রাসের রাজত্ব সে ব্যক্তিস্বাধীনতাকে কার্যকরী করা দূরে থাক সন্ত্রাসের শাসন দ্বারা গলাটিপে হত্যা করেছিল।
৫. বিপ্লব দমনে বাড়াবাড়ি : যে মুহূর্তে ফ্রান্সে চরম অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা বিরাজমান ছিল বা ভয়ংকর রূপধারণ করেছিল তা মোকাবিলা করার জন্য সাময়িকভাবে সন্ত্রাসবাদী শাসনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সন্ত্রাসবানী শাসকরা এ শাসন কার্যকরী করার জন্য অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করেছিল। তাই সারা ইউরোপের জনসাধারণের মনে বিপ্লব সম্পর্কে ঘৃণা দেখা দিয়েছিল। বার্কের মতে “উদারপন্থি মনীষীরা ও সন্ত্রাসের রাজত্বের বিভীষিকায় হতাশা বোধ করেন।
৬. বিপ্লব লক্ষ্যভ্রষ্ট : মাত্রাতিরিক্ত রক্তপাত বিপ্লবের আদর্শকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করে তোলে। এক পর্যায়ে সাধারণ জনগণ। হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি যাদের জন্য এ বিপ্লব তাদেরকেই হত্যা করা হয়। অতিরিক্ত রক্তপাত ও হত্যা বিপ্লবের মহিমাকে নষ্ট করে দেয় এবং ফলশ্রুতিতে বিপ্লব লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
উপসংহার :
উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, উগ্র বামপন্থি জেকোবিন দলের নেতৃত্বে যে সন্ত্রাসবাদী শাসন। ফ্রান্সে (১৭৯৩-১৭৯৪) এক বছর চালু ছিল তা সাময়িকভাবে ফ্রান্সের বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল। তাই একদিক থেকে বিরোধের অবসান সাময়িকভাবে করার জন্য এ শাসনের প্রয়োজন ছিল। আর এ ধরনের শাসন প্রবর্তন করার যে প্রয়োজন ছিল সন্ত্রাসবাদী শাসকরা তার প্রমাণ দাঁড় করাতে সক্ষম হন। তাঁরা বিশ্বাস করতেন, ত্রাসই হচ্ছে দ্রুত ও বলিষ্ঠ ন্যায়বিচারের পথ। ডাল্টন বলেছেন, “রাষ্ট্রের উচিত ভয়ংকর হওয়া, যাতে জনসাধারণ রাষ্ট্রের প্রতি ভয়ংকর না হয়”। তবে এ সন্ত্রাসের রাজত্ব শেষে এর ধারক ও বাহকদেরকে গিলোটিনে হত্যা করেছিল। এতে প্রমাণ হয় যে, বাঁচায়নি বরং বিপ্লবকে পঙ্গু করেছে। রক্ষকরাও শেষে ভক্ষক হয়েছিল। তাই তারা গিলোটিন থেকে রক্ষা পায়নি। লুই ব্লা যথার্থই বলেছেন, সন্ত্রাস ফ্রান্সকে বাচায়নি বরং বিপ্লবরত পঙ্গু করেছেন।