উদারতাবাদ কী? উদারতাবাদের মূলনীতিগুলো আলোচনা কর।

admin

ভূমিকা :

উদারতাবাদ আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তায় এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দর্বল করে আছে। ফরাসি বিপ্লবের মহান বাণী সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্ব বিপ্লবীদের কণ্ঠে উচ্চারিত হওয়ার পর তা ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপকভাবে এবং সমস্ত ইউরোপে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। যার ফলে বিশেষত জার্মানিতে সনাতন সামন্ত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯১০ সালে জার্মানি বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ও উদারতাবাদী আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। রাষ্ট্রদর্শনের একটি বিশেষ মতবাদ উদারতাবাদের বয়স দেড়শ বছরের বেশি হলেও এর মূল উৎস ষোড়শ শতাব্দীর 'রেনেসাঁ' ও রিফরমেশন আন্দোলনে ব্যক্তিকে তার স্বকীয় সত্তার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে প্রয়াস চালানো হয় তার পরোক্ষ ফলশ্রুতি হিসেবেই উদারতাবাদের জন্ম হয়।


উদারতাবাদ কী? উদারতাবাদের মূলনীতিগুলো আলোচনা কর।


উদারতাবাদ :

উদারতাবাদের সংজ্ঞা দেওয়া খুবই কঠিন। বিভিন্ন সময়ে বিকশিত বিভিন্ন প্রকার আবেগ মিশ্রিয় সামাজিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতবাদ উদারতাবাদের অর্থ ও ধারণার নতুন ও পরিবর্তিত উপাদান সংযে করেছে। সহজভাবে বলা যায় যে, উদারতাবাদ ব্যক্তিস্বাধীনতা, সাংবিধানিকতা এবং মানবিক উন্নয়নের তত্ত্ব ও বাস্তবতার উপর ভিত্তিশীল।


উদারতাবাদের প্রামাণ্য সংজ্ঞা :

উদারতাবাদ সম্প র্কে বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। নিম্নে কয়েকজন মনীর মতবাদ দেওয়া হলো :


অধ্যাপক জর্জ এইচ. সেবাইন (George H. Sabine) এর মতে, “ব্যক্তিস্বাধীনতা, আইনী প্রতিরক্ষা এবং সাংবিধানিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার তত্ত্ব ও বাস্তবতা হচ্ছে উদারতাবাদ।”


অধ্যাপক এল. টি. হবহাউজ (L. T. Hobhouse) এর মতে, “উদারতাবাদ এমন এক বিশ্বাস যা মনে করে যে মানবসমাজ অতি সহজেই মানুষের ব্যক্তিত্বের স্বনির্দেশিত ক্ষমতার উপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। আর ভিত্তির উপরই কো সম্প্রদায় গড়ে তোলা সম্ভব। উদারতাবাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যক্তিস্বাধীনতার পথে যত বাধা তা দূর করা এবং বিদ্যম প্রতিষ্ঠানসমূহের সংশোধন করা যাতে করে মানুষ স্বাধীন হতে পারে।”


দি এনসাইক্লোশিপেডিয়া অব সোশ্যাল সায়েন্সেস (The Encyclopaedia of Social Sciences) এর মধে "মানুষের মধ্যে দোষত্রুটি বিদ্যমান এটি মেনে নিতে উদারতাবাদ ব্যক্তির উন্নয়ন ও আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে এক সমাজ গড়ে তুলতে সচেষ্ট।"


জে. এম. রবার্টসন (J. M. Robertson)-এর মতে, “উদারতাবাদ উৎপত্তির প্রথম থেকেই অবশ্য মানুষ ও সমাজে তার অবস্থান কি হবে তার উপর বরাবর গুরুত্বারোপ করে এসেছে।”


জর্জ এল. চেরী (George L. Cherry) বলেছেন, “উদারতাবাদ ব্যক্তি তার বুদ্ধিমত্তার স্বাধীনতা ভোগ করে এবং যুক্তিবোধকে তার সকল সমস্যার সমাধান কাজে লাগিয়ে এমন এক রাজনৈতিক অবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে যার মধ্যে মানুষের গুণাবলি ও আশা-আকাঙ্ক্ষা অর্জিত হবে।”


ডব্লিউ. ই. হকিং (W. E, Hocking)-এর মতে, “মানুষের সুপ্ত বুদ্ধিমত্তা ও উত্তম ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা তাদের মহৎ সম্পদ এটি স্বীকার করে নিতে উদারতাবাদ সামাজিক কল্যাণের ভার সমাজের সদস্যদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের প্রয়োজনে তাদের উপরই ন্যস্ত করার পক্ষপাতী।”


উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় যে, উদারতাবাদ হলো এমন একটি মতবাদ যেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মাধ্যমে ব্যক্তির সর্বাঙ্গীন উন্নতি ও কল্যাণকে প্রাধান্য দেয়া হয় । উদারতাবাদ ব্যক্তিস্বাধীনতার চরম বহিঃপ্রকাশ। এ মতবাদ ব্যক্তিকে স্বাধীনতা প্রদানের পক্ষপাতী। আজ কট্টর সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতেও উদারতাবাদী নীতি গ্রহণে তৎপর হতে দেখা যাচ্ছে। তাই নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ব্যক্তির কার্যকলাপকে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়। উদারতাবাদ সাম্য, স্বাধীনতা, অবাধ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করে ব্যক্তির অশেষ কল্যাণসাধন করাই উদারতাবাদের মূল উদ্দেশ্য।



উদারতাবাদের বৈশিষ্ট্য :

উপর্যুক্ত সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ করলে উদারতাবাদের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো :


১. মানবকল্যাণ : মানবকল্যাণ সাধন করা উদারতাবাদের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। উদারতাবাদের উদ্দেশ্য হলো। মানুষের ত্রুটিপূর্ণ দিকগুলো সংশোধনের মাধ্যমে মানবকল্যাণের জন্য অগ্রগতির দিকে ধাবিত করা। মানবকল্যাণ। বলতে মানুষের সে কল্যাণকে বুঝায়, যেটি মানুষের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল সাধন করে। যথা : আত্মিক, মানবিক ও শারীরিক উন্নতিকে বুঝায় ।


২. ব্যক্তিস্বাধীনতা : উদারতাবাদ ব্যক্তির স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। ব্যক্তির ব্যক্তিস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা ও বিকাশের জন্য রাষ্ট্র ও সমাজের অন্যান্য সংঘ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। উদারতাবাদ স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে ব্যক্তির স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠাই এর প্রধান লক্ষ্য।


৩. সর্বজনীন ভোটাধিকার নীতি: স্বৈরাচারী শাসন উৎখাত ঘটিয়ে উদারতাবাদ জনগণের প্রতি সরকারের সঠিক দায়িত্ব নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলনকে জোড়ালো করে। এ আন্দোলনের ফলে ইউরোপের সর্বত্র সর্বজনীন ভোটাধিকার নীতি প্রবর্তন হয়।


৪. অর্থনৈতিক স্বাধীনতা : উদারতাবাদ ব্যক্তির সকল প্রধান অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। উদারতার মাধ্যমে ব্যক্তি তার সম্পত্তির স্বাধীনতা, বাণিজ্যের স্বাধীনতা, চুক্তির স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া উদারতার ধারণাটি স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় না।


৫. সামাজিক স্বাধীনতা : পারিবারিক সামাজিক স্বাধীনতা উদারতাবাদের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। এ স্বাধীনতার মূলকথা হলো প্রত্যেক নাগরিক স্বাভাবিকভাবেই সকল প্রকার সামাজিক স্বাধীনতা ভোগ করবে এবং সামাজিক দায়িত্ব পালন করে সমাজ থেকে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করবে।


৬. পারিবারিক স্বাধীনতা : পারিবারিক স্বাধীনতা বলতে প্রত্যেক নাগরিকের পরিবারগত স্বাধীনতা বুঝায়।' প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার মাধ্যমে নাগরিক রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ভোগের প্রয়াস পায়। উদারতাবাদের মধ্য দিয়ে পারিবারিক স্বাধীনতা।


৭. রাজনৈতিক স্বাধীনতা : রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় নাগরিকের রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা উদারতাবাদে অন্যতন বৈশিষ্ট্য। উদারতাবাদ ব্যক্তির সকল প্রকার রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। উদারতাবাদের লক্ষ্য হলো স্বৈরতন্ত্রকে উচ্ছেদ করে ব্যক্তির রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা। উদারতাবাদীদের দৃষ্টিতে রাজনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া ব্যক্তিস্বাধীনতা মূল্যহীন।


৮. মত প্রকাশের স্বাধীনতা : মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উদারতাবাদ পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। এখানে সরকার কোন কাজ করলে সমালোচনার অধিকার স্বীকৃত হয়, জনমত গঠনের সুযোগ প্রদান করা যায়।


৯. আইনের শাসন : উদারতাবাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো আইনের শাসন। আইনের শাসনের অর্থ হলো জনগণ শাসক কর্তৃক শাসিত না হয়ে আইন কর্তৃক শাসিত হবে। সত্যিকার অর্থে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উদারতাবাদের ভূমিকা অনেক। আইনকে সমাজজীবনে স্বীকৃতি দিয়ে উদারতাবাদ এটাকে মানুষের সৃষ্টি এবং চিন্তার হিসেবে ধরে নিয়েছে।


১০. সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা: সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতাকে উদারতাবাদের মূলমন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ প্রীতিগুলোর দ্বারাই মানুষ পরস্পরের প্রতি ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং পরস্পরের প্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাব বৃদ্ধি পায় ।


১১. রাজনৈতিক উন্নয়ন : রাজনৈতিক উন্নয়ন উদারতাবাদের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। রাজনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে উদারতাবান রাজনৈতিক উন্নয়ন সমর্থন করে। কেননা সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক উন্নয়ন অবশ্যম্ভারী।


১২. নিয়মতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা : উদারতাবাদ সাংবিধানিক সরকারের একনিষ্ঠ সমর্থক। কেননা সাংবিধানিক সরকারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। জনগণের অধিকার রক্ষায় সাংবিধানিক সরকার সর্বদা দায়িত্বশীল থাকে। সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থায় শাসক ও শাসিতের মধ্যে সুসম্পর্ক বিরাজ করে।


১৩. সামাজিক পরিবর্তন : উদারতাবাদ জনকল্যাণের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গৃহীত যে কোনো কর্মসূচির মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনকে সমর্থন করে। এটি যুগোপযোগী সামাজিক পরিবর্তনে বিশ্বাসী।


১৪. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক : উদারতাবাদ একটি রাষ্ট্রের সাথে অন্য রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সৃষ্টিতে বিশ্বাসী। উদারতাবাদ সাম্রাজ্যবাদ ও আগ্রাসন পরিপন্থি। উদারতাবাদীদের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রসমূহ পরস্পর পরস্পরের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদ ও আগ্রাসন প্রতিহত করতে পারে।


১৫. সকলের জন্য শিক্ষা : উদারতাবাদ শিক্ষার প্রতি যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করে থাকে। উদারতাবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, শিক্ষা ছাড়া জনগণের সচেতনতা সম্ভব নয়। উদারতাবাদের দৃষ্টিতে সকলের জন্য শিক্ষার সুযোগ সমান থাকা উচিত। কেননা শিক্ষার মাধ্যমে একটি জাতি পরিপূর্ণ বিকাশ লাভ করতে পারে।


১৩. ধর্মীয় সহনশীলতা : ধর্মীয় গোঁড়ামি উদারতাবাদ সমর্থন করে না। ধর্মীয় সহনশীলতা উদারতাবাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। উদারতাবাদ ব্যক্তিস্বাধীনতার মত ধর্মীয় স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেয়। উদারতাবাদীদের মতে, প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজ নিজ চিন্তাভাবনা ও আদর্শ অনুযায়ী নিজ নিজ ধর্মপালন করবে এবং কেউ কারও ধর্মের উপর হস্তক্ষেপ করবে না।


১৭. গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী : উদারতাবাদ গণতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী। বহুদলীয় সরকার ব্যবস্থা সর্বজনীন ভোটাধিকার, অসাম্প্রদায়িক মনোভাব প্রভৃতি গণতান্ত্রিক আদর্শকে উদারতাবাদ পূর্ণ সমর্থন করে।


১৮. সর্বজনীনতা : উদারতাবাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সর্বজনীনতা। এটি সমাজের ধনী, গরিব, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকলকে সমান দৃষ্টিতে দেখে। উদারতাবাদের নীতি সমাজের সকলের উপর সমানভাবে প্রযোজ্য।


১৯. সংশোধনবাদ তত্ত্ব : সংশোধন তত্ত্ব উদারতাবাদের অন্যতম আর একটি বৈশিষ্ট্য। উদারতাবাদ প্রাচীন ও ত্রুটিপূর্ণ বিষয়গুলোকে সংশোধন করে মানবকল্যাণের উপযোগী করে তোলে।


২০. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি : উদারতাবাদের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিকাশে সহযোগী হিসেবে কাজ করা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি মানুষের অনেক কল্যাণসাধন করে। উদারতাবাদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটিয়ে ব্যক্তি, রাষ্ট্র, সমাজকে অধিক আত্মনির্ভরশীল করে তোলে।


উপসংহার :

উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, ফরাসি বিপ্লবের সময় সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা এ তিনটি মূলতত্ত্ব নিয়ে উদারতাবাদ অগ্রগামী যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীকালে প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করাসহ বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে উদারনৈতিকতা ছাড়া অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো কল্পনা করা যায় না।


#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!