মনোবিজ্ঞানের প্রধান প্রধান দৃষ্টিভঙ্গিসমূহ আলোচনা কর ।

admin

ভূমিকা :

যদি কয়েকজন পদার্থবিদকে জিজ্ঞাসা করা হয়, বস্তু কেন নিচের দিকে পড়ে। কয়েকজন আবহাওয়াবিদকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, আবহাওয়া কেন পরিবর্তিত হয়, অথবা কয়েকজন রসায়নবিদকে যদি জিজ্ঞাসা করা কোন একটি বিশেষজ্ঞগণের উত্তর হবে সামঞ্জস্যপূর্ণ।


মনোবিজ্ঞানের প্রধান প্রধান দৃষ্টিভঙ্গিসমূহ আলোচনা কর


কিন্তু বেশকিছু মনোবিজ্ঞানীকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, সন্তান কেন হয় প্লাস্টিক কিভাবে তৈরি হয়, তাহলে বিস্তারিত বর্ণনার ক্ষেত্রে তারা দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রগুলোর যে পিতামাতার দ্বারা নির্যাতিত হয়? দেখা যাবে, উত্তরসমূহের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। কতকগুলো উত্তর মনে হবে সম্পর্কযুক্ত পিজা অন্যগুলো দেখা যাবে সম্পূর্ণ পরস্পরবিরোধী। মতের ভিন্নতার কারণেই উদ্ভব ঘটেছে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ।


মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিসমূহ :

মনোবিজ্ঞানে যেসব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তা হল নিম্নরূপ :

১. জৈব মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি।

২. মনোগতীয় দৃষ্টিভঙ্গি।

৩. জ্ঞানীয় দৃষ্টিভঙ্গি।

৪. আচরণগত দৃষ্টিভঙ্গি।

৫. মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি ।

৬. জ্ঞানীয় দৃষ্টিভঙ্গি ।


১. জৈব মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি :

জৈব মনোবিজ্ঞান শারীরবিদ্যাকে, বিশেষত মস্তিষ্কের শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপকে মনোবিজ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত করে। জৈব মনোবিজ্ঞানের অন্তর্নিহিত বক্তব্য হল প্রত্যেক আচরণ, অনুভূতি ও চিন্তনের বিপরীতে মস্তিষ্কে একটি শারীরিক ঘটনা বর্তমান। এ দু'ধরনের ঘটনার সম্পর্ক অনুভব বা ব্যাখ্যাই হল জৈব মনোবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য। শিক্ষণের সময় মস্তিষ্কে কি ধরনের পরিবর্তন ঘটে? মানসিক অসুস্থতার সময় মস্তিষ্কে রাসায়নিক কি পরিবর্তন হয়? আক্রমণাত্মক কাজ করার সময় মস্তিষ্কে কি ঘটে? এগুলোই হল জৈব মনোবিজ্ঞানীর জিজ্ঞাসা। তারা জানতে চান, মস্তিষ্কের কোন কোন অংশ কোন কোন বিশেষ আচরণের জন্য দায়ী।


স্মরণ করা যেতে পারে, হিপোক্রেটিসের আগ্রহ ছিল মস্তিষ্কের সাথে আচরণ ও চেতনার সম্পর্কে। এরপর ধর্মীয় মতবাদ ও অন্যান্য কারণে অষ্টাদশ শতাব্দীর পূর্ব পর্যন্ত এ ধারণা অবহেলিত ছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীতে মনোবিজ্ঞানীগণ আবার জেগে উঠেন এবং মস্তিষ্কের কার্যকলাপ সম্পর্কে নিত্যনতুন আবিষ্কার হতে থাকে ।


জৈব মনোবিজ্ঞানীগণ আজ মস্তিষ্কের কার্যকলাপ সম্পর্কে অনেক তথ্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছেন। কোন ধরনের আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়া মস্তিষ্কের কোন অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, সে সম্পর্কে আজ আমরা অনেকটা জানতে পেরেছি। সাম্প্রতিককালে Rogerperry মস্তিষ্ক সম্পর্কিত কাজের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর গবেষণার মূল বক্তব্য ছিল মস্তিষ্কের দু'টি গোলার্ধ ভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে । আমাদের আচরণ খুবই জটিল। এ জটিল আচরণের সাথে প্রায় ১২ বিলিয়ন কোষ সম্বলিত মস্তিষ্কের সম্পর্ক নির্ণয় করা বেশ কঠিন কাজ। তথাপি আচরণকে বুঝতে এবং মানবকল্যাণে নিয়োজিত থাকতে জৈব মনোবিজ্ঞানীগণ দৃঢ় প্রত্যয়ী।


২. মনোগতীয় দৃষ্টিভঙ্গি :

মনোগতীয় দৃষ্টিভঙ্গির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল, মানব আচরণ আনুধাবন করার ক্ষেত্রে অবচেতন শক্তির বা মনোগতির (Uncourscious forces বা Psychodynamics) ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ । ফ্রয়েডীয় এবং অন্যান্য মতবাদের সমন্বয়ে মনোগতীয় দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হলেও এটি প্রকৃতপক্ষে গড়ে উঠেছে ফ্রয়েড ও তাঁর অনুসারী, নব্য ফ্রয়েডীয়দের কাজের মাধ্যমে।ফ্রয়েড এর কাজ মনঃসমীক্ষণ মতবাদ বা Psychoanalytic theory নামে পরিচিত।


ফ্রয়েড এর মনঃসমীক্ষণ তত্ত্বের ধারণা হল মানুষ কতকগুলো অবচেতন জৈবিক তাড়না নিয়ে জন্মগ্রহণ করে যা সবসময় প্রকাশ পেতে সচেষ্ট থাকে। ছোট্ট শিশু বা বালকদের মধ্যে কিছু তাড়না আছে যা তাদের যথাযথ আচরণের জন্য সামাজিক প্রচলিত নিয়ম ভাঙতে তাড়িত করে। উদাহরণস্বরূপ, টয়েলেট ট্রেনিংয়ের সময় ছোট্ট শিশুরা মলমূত্র মাখামাখি করে আনন্দ পায়। বালকেরা খেলার সাথিদের আঘাত করে আনন্দ পায় অথবা হস্তমৈথুনের মাধ্যমে কিশোররা আনন্দ উপভোগ করে। পিতামাতা সাধারণত এসব আচরণের বাধা দেয় এবং শাস্তি প্রদান করে। এ অনুশাসনের ফলে অনেক সহজাত তাড়না অবদমিত হয়। অর্থাৎ, সজ্ঞান স্তর থেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে দেওয়া হয় ।


৩.জ্ঞানীয় দৃষ্টিভঙ্গি  :

জ্ঞানীয় দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক মনোবিজ্ঞানের একটি নতুন ধারা। জ্ঞান বা Cognition হল একটি শব্দ যার অর্থ হল আমাদের চারপাশের পৃথিবী সম্পর্কিত তথ্যের রূপান্তর বা প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রক্রিয়া। আচরণবাদী কতৃক মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা থেকে মানসিক জীবন ও চেতনাকে বাদ দেওয়ার প্রতি প্রতিক্রিয়া হিসেবে জ্ঞানীয় দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটে। 


এ দৃষ্টিভঙ্গির মূল নিহিত রয়েছে অন্তর্দর্শনবাদে এবং আরও পূর্বে, এরিস্টটলের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত প্রাচীন লেখায়। জ্ঞানীয় মনোবিজ্ঞানীরা জানতে চান, আমরা যাকিছু অভিজ্ঞতা লাভ করি তা কিভাবে আমরা সংগঠিত করি, মনে রাখি এবং বুঝতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, পৃষ্ঠার উপর ছোট ছোট কালির রেখা দিয়ে কিভাবে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করা যায়? বন্ধু কর্তৃক সৃষ্ট শব্দ তরঙ্গকেভাষান্তরিত করে কিভাবে কথোপকথনের বাক্যগুলো সনাক্ত করা সম্ভব হয়।

জোনীয় মনোবিজ্ঞানীগণ মানুষকে তাহার চরম সক্রিয় প্রক্রিয়াজাতকারক হিসেবে দেখে থাকেন। জ্ঞানীয় মনোবিজ্ঞানী Ulric Neisser (1967) বলেছেন যে, আমরা বাস্তব সম্পর্কে যা কিছু জানি তা জটিল নিয়ম অনুসারে চলছে, যা সংবেদী তথ্যকে ব্যাখ্যা করে এবং পূর্ণব্যাখ্যা করে। জ্ঞানীয় মনোবিজ্ঞানের লক্ষ্য হল এ রাখা ও পূর্ণব্যাখ্যার সাথে জড়িত মানসিক প্রক্রিয়াসমূহকে সুনির্দিষ্ট করা। কিভাবে মানুষ চিন্তার পরিচিত পথ অতিক্রম করে এবং সমস্যার সৃজনশীল সমাধান আবিষ্কার করে তা জ্ঞানীয় মনোবিজ্ঞানেরবিষয়বস্তু।


৪.কথা আচরণগত বা ব্যবহারিক ভঙ্গি :

আচরণগত দৃষ্টিভঙ্গির উদ্ভব ঘটেছে অনেকটা উন্ড এর অন্তর্দর্শন পদ্ধতির প্রতি প্রতিক্রিয়া করতে যেয়ে। আচরণবাদী মনোবিজ্ঞানীগণ অনুভব করলেন যে, অন্তদর্শনের মাধ্যমে চেতনাকে অনুধ্যান করা খুবই অবৈজ্ঞানিক। তাদের মূলকথা হল মনোবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হতে হলে এটিকে অবশ্যই পর্যবেক্ষণযোগ্য অনুধ্যান করতে হবে, যেমন- আচরণ। এ দৃষ্টিভঙ্গির অনুসারীদের মতে, মনোবিজ্ঞান হল আচরণের বিজ্ঞান। আচরণবাদী মনোবিজ্ঞানীরা আচরণকে প্রতিক্রিয়া এবং যেভাবে পরিবেশের উদ্দীপক দ্বারা প্রতিক্রিয়া প্রভাবিত হয় তা অনুধ্যান করেন ।


শতাব্দীর ক্রান্তিলগ্নে আইভান প্যাভলভ যে কাজ শুরু করেছিলেন তার মধ্যে আচরণগত দৃষ্টিভঙ্গির মূল নিহিত রয়েছে। প্যাভলভ মূলত একজন শারীরবিদ, মনোবিজ্ঞানী নন। তাঁর আবিষ্কার মনোবিজ্ঞানে ব্যবহার হয়। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, স্বাধীন বিজ্ঞান হিসেবে মনোবিজ্ঞান ছিল 'সম্পূর্ণ অসহায়' (Completely helpless) এবং তিনি বলেছেন যে, অনুসঙ্গ এবং সাপেক্ষণ হল মনোবিজ্ঞানের বিষয়। প্যাভলভ সাপেক্ষণের যে সূত্র আবিষ্কার করেন তা হল “পূর্বে যে প্রতিক্রিয়া একটি স্বাভাবিক উদ্দীপক দ্বারা সৃষ্টি হতো স্বাভাবিক উদ্দীপকের সাথে অন্য একটি নিরপেক্ষ উদ্দীপক জুড়ে দেওয়ার ফলে নিরপেক্ষ উদ্দীপকটিও উক্ত প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে সক্ষম হয়।"


আচরণগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান হল এডওয়ার্ড এল. থর্নডাইক এর কর্মকাণ্ড। তিনি ১৮৯৮ সালে ২৪ বছর বয়সে শিক্ষণ সম্পর্কিত বিড়াল নিয়ে পরীক্ষণলব্ধ তথ্য সমৃদ্ধ প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। থর্নডাইক দেখতে পান যে, যেসব আচরণ খাদ্য প্রদান করে পুরষ্কৃত করা হয়, একই ধরনের পরিবেশে বিড়ালের ঐসব আচরণ করার প্রবণতা বেড়ে যায়। যেসব আচরণ পুরস্কৃত করা হয় না তা পুনরাবৃত্তি করার প্রবণতা কমে আসে। এ তথ্যের উপর ভিত্তি করে তিনি Law of effect প্রণয়ন করেন। শিক্ষণ সম্পর্কিত থর্নডাইকের কর্ম প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে শিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল (Hilgard, 1956)। বি.এফ স্কীনার অন্যান্য আধুনিক আচরণবাদী মনোবিজ্ঞানীদের কর্মপ্রসূত আচরণের ফলাফল, পুরস্কার অথবা শান্তি আজও ভবিষ্যৎ আচরণ নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।


৫. মানবিক বা মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি :

অন্তদর্শনবাদের প্রতি প্রতিক্রিয়া করতে গিয়ে যেমন আচরণগত দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয়েছিল, তেমনি মনঃসমীক্ষণ ও আচরণগত দৃষ্টিভঙ্গির ত্রুটির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া করতে গিয়ে পরবর্তী কয়েক দশকে মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশ লাভ করে। এ দু'টি দৃষ্টিভঙ্গির রয়েছে তাত্ত্বিক সৌন্দর্য এবং চিত্তাকর্ষক ব্যাখ্যা ক্ষমতা। কিন্তু এতে ব্যক্তির কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় নি। সাপেক্ষ প্রতিক্রিয়া অথবা সুপ্ত তাড়নার জন্য ব্যক্তিকে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কিন্তু সমগ্র ব্যক্তিটিকে তার সকল অনুভূতি, অভিজ্ঞতা, চাহিদা, সমস্যা এসব বিষয় বিবেচনায় আনা হয় নি। এর প্রেক্ষাপটে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, সমগ্র ব্যক্তির উপর জোর দিয়ে এবং প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে একটি 'তৃতীয় ব্যক্তি' জন্মলাভ করে, যার নাম মানবিক মনোবিজ্ঞান।


মানবিক মনোবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় ধারণা হল আত্মোপলব্ধির চাহিদা (Need for selfactualization)। অনেক প্রেষণা আচরণকে প্রভাবিত করে। মানবিক মনোবিজ্ঞানীরা তাই বিশ্বাস করেন যে, আমাদের পূর্ণক্ষমতা বিকাশের জন্য অন্তর্নিহিত চাহিদা সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। মানবিক মনোবিজ্ঞানের অরেকটি প্রধান হল স্বাধীনতা। আচরণগত মনোবিজ্ঞান অনুযায়ী। বাহ্যিক পরিবেশ দ্বারা ব্যক্তির কার্যকলাপ নির্ধারিত হয়। মনঃসমীক্ষণে জনগণ অবচেতন ও অভ্যন্তরীণ তাড়না দ্বারা চালিত হয়।


মানবিক মনোবিজ্ঞান এ অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নির্ধারণের গুরুত্বকে বাতিল করে দিয়েছে। বরং এরা গুরুত্ব দিয়েছেন যে, ব্যক্তি যদি পছন্দমতো কাজ করতে পারে এবং যদি সমাজ তাদেরকে অধিক স্বাধীনতা দেয়, তাহলে তারা সক্ষমভাবে এবং খুশির সাথে তাদের নিজেদের জীবনের দায়িত্ব নিতে পারে এবং তাদেরকে ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারে। মানবিক মনোবিজ্ঞান আরও মনে করে যে, প্রত্যেক মানুষেরই একটা অন্তর্নিহিত ভালো দিক রয়েছে।


উপসংহার :

পরিশেষে বলা যায় যে, মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গিগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। কখনও কখনও একটি দৃষ্টিভঙ্গির সীমাবদ্ধতা অন্যটি তৈরিতে সাহায্য করে। এককভাবে কোন দৃষ্টিভঙ্গিই প্রধান বা সঠিক নয়। কোন সময় কোন কোনদৃষ্টিভঙ্গি অন্যগুলোর চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।  কিন্তু তাদের সবগুলোরই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য থাকে। তবে এভাবে চিন্তা করা ঠিক যে, আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়ার মত জটিল বিষয় অনুধ্যানে প্রতিটি দৃষ্টিভঙ্গিরই একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। 


#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Ok, Go it!